জীবনের সবথেকে গুরুত্বপুর্ণ পরীক্ষাটার প্রথম ধাপ কালকে । কাছে-দূরের আত্বীয়স্বজন বন্ধু-বান্ধব, সবাই ফোন দিয়েছিল। খোজ খবর নিল, শুভ কামনা জানালো। শুভ কামনা জানানো দুই রকম। একরকম, মন থেকেই ভাল উইশ চলে আসে। আরেকরকম, ফরমালিটিজ। ফোন না দিলে স্মরণ কি ভাববে! এই টাইপ চিন্তা ভাবনা। জীবনের এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে যাচ্ছি, তবুও কিচ্ছু মনে হচ্ছে না। নির্বিকার, নিশ্চিন্ত! উহু, প্রিপারেশন নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়ার মত পড়াশোনা দুই বছরে করতে পারিনি। নিশ্চিন্ত কারণ- চিন্তা করার ধৈর্য্য হারিয়ে গেছে অথবা শক্তিই মরে গেছে।
এই তো বছর খানেক আগে... ওর যখন পরীক্ষা সামনে এল, আমার অবস্থা কেমন হয়ে গেছিল, সেটা আমি এখনো মনে করতে পারি। তখন মনে হচ্ছিলো, আমার নিজেরই মনে হয় পরীক্ষা। কলম- পেন্সিল ঠিকভাবে গুছিয়েছে কীনা, এডমিট কার্ড কপি করেছে কীনা- এসব কত কিছুর চিন্তা মাথায় ঘুরছিল! আমার মনে আছে, পরীক্ষার আগের রাতে কথা বলার সময় "সোনামনি" বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। পরে আবার ফোন দিয়ে বললাম, সোনামনি বলি নাই তো... বেস্ট অফ লাক সোনামনি। ও জিজ্ঞাস করেছিল, স্মরণ, এত ভালবাসিস কেন? ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে এটাই মনে হয় সব থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন!
সময়ের আবর্তে আজ অনেক কিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে। যেই মানুষটা আমার জীবনের সব, তার জীবনে নেই আমার কোনো অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া আঙটির মত... হারিয়ে গেলে হয়তো খারাপ লাগে, কিন্তু হর হামেশা কখনোই মনে হয় না। আজ আমি তেমন। গুরুত্বহীন একটা মানষ। একটা বার ফোন দিল না। একটাবারও না... কীভাবে পারলো? কীভাবে পারে?
জীবনের দুটো মানুষ- একজন ও, আরেকজন আমার আব্বু। একজনকে ভালবাসি নিজের থেকে বেশী, আরেকজনকে ভালবাসি জন্মের টানে... দুটো ব্যাক্তির কেউ ফোন দিল না। কেউ না। এইতো আমার জীবন! যদিও দুজনের নাম্বারই আমার ব্ল্যাক্লিস্টে রাখা!
পাঠক, জীবন কখনো কখনো নাটকের চেয়েও বেশী নাটকীয়!
এই তো বছর খানেক আগে... ওর যখন পরীক্ষা সামনে এল, আমার অবস্থা কেমন হয়ে গেছিল, সেটা আমি এখনো মনে করতে পারি। তখন মনে হচ্ছিলো, আমার নিজেরই মনে হয় পরীক্ষা। কলম- পেন্সিল ঠিকভাবে গুছিয়েছে কীনা, এডমিট কার্ড কপি করেছে কীনা- এসব কত কিছুর চিন্তা মাথায় ঘুরছিল! আমার মনে আছে, পরীক্ষার আগের রাতে কথা বলার সময় "সোনামনি" বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। পরে আবার ফোন দিয়ে বললাম, সোনামনি বলি নাই তো... বেস্ট অফ লাক সোনামনি। ও জিজ্ঞাস করেছিল, স্মরণ, এত ভালবাসিস কেন? ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে এটাই মনে হয় সব থেকে কাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন!
সময়ের আবর্তে আজ অনেক কিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে। যেই মানুষটা আমার জীবনের সব, তার জীবনে নেই আমার কোনো অস্তিত্ব। হারিয়ে যাওয়া আঙটির মত... হারিয়ে গেলে হয়তো খারাপ লাগে, কিন্তু হর হামেশা কখনোই মনে হয় না। আজ আমি তেমন। গুরুত্বহীন একটা মানষ। একটা বার ফোন দিল না। একটাবারও না... কীভাবে পারলো? কীভাবে পারে?
জীবনের দুটো মানুষ- একজন ও, আরেকজন আমার আব্বু। একজনকে ভালবাসি নিজের থেকে বেশী, আরেকজনকে ভালবাসি জন্মের টানে... দুটো ব্যাক্তির কেউ ফোন দিল না। কেউ না। এইতো আমার জীবন! যদিও দুজনের নাম্বারই আমার ব্ল্যাক্লিস্টে রাখা!
পাঠক, জীবন কখনো কখনো নাটকের চেয়েও বেশী নাটকীয়!