তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। জীবনের প্রথম প্রেম। মেয়ের চেহারা ছিল ব্যাপক। ছোট মানুষ তো, পুতুল পুতুল দেখতে লাগতো। সেই পুতুলরে আমি একদিন প্রেম পত্র পাঠাইলাম। শালার পিয়ন বান্ধবীরা জায়গামত না পৌঁছে স্যারের কাছে দিয়ে দিল। আমার তো ভয়ে জানের পানি নাই। এমন সময় বড় ভাইয়া এসে মা'কে বললো, মা জানো, ক্লাস ফাইভে পড়া এক মেয়েকে কোন শয়তান যেন প্রেম পত্র দিছে। স্মরণদের সাথে পড়ে...
এর মধ্যে একদিন, বাড়ির সবাই বসে আছি উঠানে। শীতের মিষ্টি রোদ লাগছে গায়ে। চমৎকার পরিবেশ। হঠাত একটা আননোন নাম্বার থেকে ফোন এল বাপের মোবাইলে। বাপ যা কথা বললো, তার সারাংশ হল- হর হামেশাই এই নাম্বার থেকে তার নাম্বারে মিসড কল যায়। এবং তার ক্লাস ফাইভে পড়া একটি 'যুবতি' (!) মেয়ে আছে। আমি উঠান থেকে ঝেড়ে এক দৌড় দিলাম। ঠাকুর ঘরে কেরে? আমি তো কলা খাই না...!
পরে বাপের হাত থেকে মা আমাকে উদ্ধার করলো। বাচিয়ে দিল। অর্থাৎ, মা আমার কত্ত ভালো... পরের ঘটনাটা দেখুন,
পরে বাপের হাত থেকে মা আমাকে উদ্ধার করলো। বাচিয়ে দিল। অর্থাৎ, মা আমার কত্ত ভালো... পরের ঘটনাটা দেখুন,
২য় প্রেমে পড়লাম ক্লাস এইটে। মা জননী শার্টের পকেট থেকে মেয়ের চিঠি আবিষ্কার করলেন। তখন গায়ে গতরে আর মনের দিক থেকে সামান্য একটু বিকাশ সাধিত হয়েছে। ভাবখানা এমন- ছেলে বড় হয়েছে। প্রেম করে। সমস্যা? মায়ের মুখের উপর বলে দিলাম, মেয়েকে ছাড়া আমি বাচবো না। মাও দেখলো, ছেলের লক্ষণ খারাপ। আমাকে সম্মতি জানালো। ইভেন, সেই মেয়ে আমি না থাকলে মায়ের কাছে এসে চিঠি দিয়ে যেত। আমার মা কত্ত ভালো তাইনা?
পড়ের ঘটনাটা দেখুন,
পড়ের ঘটনাটা দেখুন,
আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে যখন সীমাহীন বখে গেলাম। মা টুক করে মেয়ের মায়ের কাছে ফোন দিয়ে বলে দিল। আমার ''হতে পারতো'' শ্বাশুরী মেয়ের এহেন কীর্তি শুনে মেয়েকে ঘর বন্দী করে ফেললো। আমি খেলাম জীবনের প্রথম ছ্যাক। আমার মা কত খারাপ তাইনা?
পড়ের ঘটনাটা দেখুন,
পড়ের ঘটনাটা দেখুন,
ছ্যাক খেয়ে খাওয়া দাওয়া বাদ দিয়ে দিলাম। সারাদিন শুধু গান শুনি, "ওহে পাষাণ হৃদয় ললনা তুমি..." তখন আমার মা জননী নারকেলের তেল নিয়ে এগিয়ে এলেন। কোলের মধ্যে মাথা রেখে মাথায় তেল মালিশ করে দিলেন। বোঝালেন, দেখসিস, মেয়ে কত্ত খারাপ! তোকে ছেড়ে চলে গেল!
এর পড়ের আর কোনো ঘটনা শোনার দরকার নাই। আমার মা জননী মাতৃসমাজের বেষ্ট মা... frown emoticon
বত্বঃ তৃতীয় প্রেম জানিতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না