অতীতটা লাশ হয়ে পচে গেছে

মাঝ রাত। বেশীর ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে গেছে। আমার ঘুমোনো মানা। পেটের তাগিদে একটা কাজ করতে হয়, সেটা আরো ঝালিয়ে নিচ্ছি। কোনো কাজ থেকে পিছিয়ে আসা আমার ধাতে নেই। হয়তো হেরে যাবো... কিন্তু শেষ দেখতে চাই।
ভীষন রকম মন খারাপ আজ। মাঝে মাঝে ভাবি বড় ভাইয়া পিসিটা না দিলে আমি মনে হয় মরেই যেতাম। কোনো কাজ থাকতো না। ফেসবুক থাকতো না, আমার এইচটিএমএল থাকতো না, ওয়ার্ডপ্রেস থাকতো না, গুগোলে ঘষামাজা থাকতো না, কাজ করতে করতে আটকে গিয়ে মাথার চুল টানতে ইচ্ছে করতো না। এমনিতেই লবন ছাড়া তরকারী, তার উপরে মরিচও নেই
ভার্চুয়াল এই জগতটাই এখন আমার সঙ্গী। রক্ত মাংসের মানুষ ছেড়ে এসে প্রানহীন নির্বোধ এক মনিটরের দিকে অপলোক তাকিয়ে থাকা। কোথাকার কোন অপরিচিত কেউ একজনের কথায় হাসছি... অচেনা কারো কথায় রেগেও যাচ্ছি। যদিও আমার ফেসবুকের প্রায় সবাই চেনা। কিন্তু তারপরেও কাছের একজনের চেয়ে তো ঢের অজানা!
আমি একদমই কথা রাখতে পারি না। আগে হয়তো পারতাম। এখন পারি না। পৃথিবীর সেই মানুষটাই সবচেয়ে বেশী খারাপ, যার কথার কোনো দাম নেই। আমি আসলে সেই মানুষটাই হয়ে গেছি।
অনেক অপরাধ করেছি এই ছোট্ট জীবনে। পাপগুলো পুন্যের চেয়ে ঢের বেশী। কিন্তু তারপরেও গত ছয়টা মাস ধরে জীবনের উপর দিয়ে যা যাচ্ছে, এতোটাও সম্ভবত ডিজার্ভ করি না। মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, মুক্তি চাই। বাচতে চাই। হাসতে চাই। পারি না। কাদতে পারি কেবল।
ভুলতে হবে সব কিছু। যে অতীতকে সংগে নিয়ে আমি বেঁচে আছি, সেই অতীতটা লাশ হয়ে পচে গেছে অনেক আগে। হঠাত হঠাতই কেবল মাটি ফুড়ে কাফনের সাদা কাপড়টা বের হয়ে কলিজায় খানিক্ষনের শিহরন বয়ে দিয়ে যায়।
সত্যি কথা কী, আল্লাহ কাউকে বিনা দোষে শাস্তি দেন না। আমাকেও দেন নি। হয়তো দোষ ছিল। শাস্তি পাচ্ছি। এবার সব কিছু ভুলে যাব। সবাইকে মাফও করে দিলাম।
... সব্বাইকে। হুম আমিই ভুল ছিলাম। আমিই smile emoticon শুধরাবোনা। গুটিয়ে নেব।