ভার্চুয়াল ডায়েরী

আমার লেখা এখানকার প্রতিটা কথা মিথ্যা :)

Tahseenation Vs Solaiman Shukhon | রোস্টিং এর ডেবিট ক্রেডিট | Bangla Fun...

স্বপ্ন থেকে বাস্তব... বাস্তব থেকে স্বপ্ন

আমি ঘুমের মাঝে কোনো স্বপ্ন দেখি না। যা দেখি, সেটা জেগে জেগে। তবে আমি খেয়াল করে দেখেছি, ঘুমের স্বপ্নে যা দেখি সেটা মিলে যায়। হুবহু মিলে যায়। এরকম প্রায় প্রতিবারই হয়েছে।
আজ স্বপ্নে একটা মানুষকে দেখলাম। যার সাথে শেষ দেখা ডিসেম্বরের ২৩ তারিখ। কতদিন হবে? ক্যালকুলেটরের হিসেবে পাঁচমাস চারদিন। মনের হিসেবে কয়েক যুগ তো অবশ্যই।
সকাল থেকেই মন থেকে আসছিল, আজ হয়তো দেখা হয়ে যাবে! প্রকৃতির কী নির্মম খেয়াল, যে মানুষটা ছাড়া একটা মুহুর্ত কল্পনা করার শক্তি ছিল না, আজ তার জন্যই পালিয়ে বেড়ানো। কিন্তু আমি পালিয়ে বেড়ালেও ওই যে স্বপ্ন... স্বপ্নটাই বাস্তবতার কাছে পৌঁছে দিল। আমার পছন্দের সেই সাদা ড্রেসটা পরে দাঁড়িয়ে আছে। অপেক্ষা করছে হয়তো কারো জন্য...
কয়েক মুহুর্তের বোধ শক্তি হারিয়ে ফেলা... থেমে যাওয়া... তারপর আবার পালিয়ে যাওয়া!
smile emoticon

অতীতটা লাশ হয়ে পচে গেছে

মাঝ রাত। বেশীর ভাগ মানুষ ঘুমিয়ে গেছে। আমার ঘুমোনো মানা। পেটের তাগিদে একটা কাজ করতে হয়, সেটা আরো ঝালিয়ে নিচ্ছি। কোনো কাজ থেকে পিছিয়ে আসা আমার ধাতে নেই। হয়তো হেরে যাবো... কিন্তু শেষ দেখতে চাই।
ভীষন রকম মন খারাপ আজ। মাঝে মাঝে ভাবি বড় ভাইয়া পিসিটা না দিলে আমি মনে হয় মরেই যেতাম। কোনো কাজ থাকতো না। ফেসবুক থাকতো না, আমার এইচটিএমএল থাকতো না, ওয়ার্ডপ্রেস থাকতো না, গুগোলে ঘষামাজা থাকতো না, কাজ করতে করতে আটকে গিয়ে মাথার চুল টানতে ইচ্ছে করতো না। এমনিতেই লবন ছাড়া তরকারী, তার উপরে মরিচও নেই
ভার্চুয়াল এই জগতটাই এখন আমার সঙ্গী। রক্ত মাংসের মানুষ ছেড়ে এসে প্রানহীন নির্বোধ এক মনিটরের দিকে অপলোক তাকিয়ে থাকা। কোথাকার কোন অপরিচিত কেউ একজনের কথায় হাসছি... অচেনা কারো কথায় রেগেও যাচ্ছি। যদিও আমার ফেসবুকের প্রায় সবাই চেনা। কিন্তু তারপরেও কাছের একজনের চেয়ে তো ঢের অজানা!
আমি একদমই কথা রাখতে পারি না। আগে হয়তো পারতাম। এখন পারি না। পৃথিবীর সেই মানুষটাই সবচেয়ে বেশী খারাপ, যার কথার কোনো দাম নেই। আমি আসলে সেই মানুষটাই হয়ে গেছি।
অনেক অপরাধ করেছি এই ছোট্ট জীবনে। পাপগুলো পুন্যের চেয়ে ঢের বেশী। কিন্তু তারপরেও গত ছয়টা মাস ধরে জীবনের উপর দিয়ে যা যাচ্ছে, এতোটাও সম্ভবত ডিজার্ভ করি না। মাঝে মাঝে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে, মুক্তি চাই। বাচতে চাই। হাসতে চাই। পারি না। কাদতে পারি কেবল।
ভুলতে হবে সব কিছু। যে অতীতকে সংগে নিয়ে আমি বেঁচে আছি, সেই অতীতটা লাশ হয়ে পচে গেছে অনেক আগে। হঠাত হঠাতই কেবল মাটি ফুড়ে কাফনের সাদা কাপড়টা বের হয়ে কলিজায় খানিক্ষনের শিহরন বয়ে দিয়ে যায়।
সত্যি কথা কী, আল্লাহ কাউকে বিনা দোষে শাস্তি দেন না। আমাকেও দেন নি। হয়তো দোষ ছিল। শাস্তি পাচ্ছি। এবার সব কিছু ভুলে যাব। সবাইকে মাফও করে দিলাম।
... সব্বাইকে। হুম আমিই ভুল ছিলাম। আমিই smile emoticon শুধরাবোনা। গুটিয়ে নেব।

ctrl+F একটা নাম, কিছু সময়, কিছু স্মৃতি = Delete!

...সময় আর নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না। অনেক পুরোনো আর বিশ্বস্ত একটা প্রবাদ। ৮০০কোটি মানুষের এই পৃথিবীতে প্রত্যেকেই নিজের ছন্দে এগিয়ে যায়। কেউ কেউ দমকা হাওয়ায় খানিকটা থেমে যায়। শ্বাস নেয়। কারো কারো আবার প্রচন্ড রকম শ্বাসকষ্ট হয়। যে সব কষ্ট কাটিয়ে শ্বাস নিতে পারলো, সে বাঁচল আর যে পারলো না ছিটকে গেল। পুরোটাই একটা গেম। হয় দৌড়াও, রেস যেতো। নাহয় থেমে যাও, হেরে যাও।

প্রতিসেকেন্ড, মিলি সেকেন্ডের মাঝে হেরে যায় শত সহস্র মানুষ। আবার অনেকেই জিতে যায়। জয়উল্লাস করে। কিন্তু জীবন যে একটা গেম। গেমার কুইট বাটন টিপে দিলেই জয়ীও হারিয়ে যাবে, পরাজয়ীও হারিয়ে যাবে। অস্তিত্বহীন সব। ধুধু নিঃসঙ্গতা... ভাবনার মাঝে এসেও মিলিয়ে যায়।

আমরা এসবের পেছনেই ছুটে চলি। ছুটছি। শেষ নেই, কোথায় শুরু হয়েছিল তাও জানি না। গন্তব্যহীন পথে কেউ কেউ পাশাপাশি চলে আসে। সেও একই পথে দৌড়ায়। কয়েক কোটি সেকেন্ডের সামান্য চেনা সাথী। তারপর আবার কেউ আরও খানিকটা এগিয়ে যায়, কেউ বা পিছে পরে। সাথী হারিয়ে যায়, সাথী পরিবর্তিত হয়। গেম... দিনশেষে পুরোটাই একটা গেম!

এই গেমের নির্বোধ কোড দিয়ে গড়ে উঠে, কী এক বোধের জন্ম নিজেদের মাঝে হয়েছে, সামান্য ওইটুকু সময়ের সাথীদের জন্যই ভালবাসা নামক অর্থহীণ নিছক একটা আবেগের জন্ম হয়। আবেগ! সেটাও প্রোগ্রামারের নির্বোধ কোডের অর্থহীন এক আউটপুট!

ধ্যাত... মাঝ রাতে কী দিয়ে কি লিখছি! এটাও প্রোগ্রামারের কোডের গন্ডগোল। আমার না।

আচ্ছা, এইচটিএমএল এর প্রিমিয়াম টেমপ্লেট গুলো ফ্রিতে নামিয়ে যেমন চুরি করে ক্রেডিট মুছে দেই, পালটে দেই নানা রকম রং, এমন করে নিজের মাথার স্মৃতি গুলো পালটে দেয়া যায় না?? হাজার হাজার নির্বোধ কোডের মাঝে কন্ট্রোল আর এফ চেপে ধরে, একটা শব্দ-একটা নাম... মুছে যাক।

মাথায় কেন একটা ষোল!

সম্ভবত দুপুর একটা ষোল। খুব পরিচিত একটা নম্বর থেকে ফোন। আমি কথা বলার চেষ্টা করছি কিন্তু গলা দিয়ে কেন যেন আওয়াজ বের হচ্ছে না। আরও পরিষ্কার করে বললে আওয়াজ বের হচ্ছে কিন্তু ঠিক কি বলছি আমি বুঝতে পারছি না। অবশ্য বুঝতে পারার কথাও নয়। আমি তখন গভীর ঘুমে। কিন্তু ঠিক ওই পরিচিত ভঙ্গিতেই ফোন কেটে দেয়ার শব্দটা আমার মনে আছে।
"ওক্কে, রাখি তাইলে..." বলে আমার বাধা দেয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা। খুব বেশীক্ষণ নয়, যে কয় মিলি সেকেন্ডে হঠাত করেই লুকিয়ে রাখা ভালবাসাটা প্রকাশ পেয়ে যায়, ঠিক সেই কয় মিলি সেকেন্ড পরে ফোনটা বরাবরই কেটে যায়।
এরপরে ঘুম ভেঙ্গেছে তিনটায়। সময়টা মনে আছে, কথা গুলো মনে আছে, এক শব্দ থেকে আরেক শব্দে আপন ভঙ্গিমায় থেমে যাওয়াটা মনে আছে কিন্তু তারপরেও মনে করতে পারছি না আদৌ কি ফোন দিয়েছিল? নাকি আমার স্বপ্ন? কী আসচর্য্য! লাস্ট রিসিভ কলটা যে গত কাল রাতের। সকালে কোনো ফোন আসেনি, দুপুরেও আসেনি। তাহলে? ওই যে একটা ষোল... এটা কেন মাথায় ঢুকলো?
হয়তো পুরোটাই আমার মনের কল্পনা। কিন্তু তারপরেও এবার কেন যেন মেনে নিতে পারছি না। বার বার মনে হচ্ছে, নাহ একটা ষোলতে একটা ফোন এসেছিল। আমি ধরেছিলাম। ও হ্যালো বলেছিল...

তৃতীয় শ্রেণী কষ্টে আছে

অভিজিৎ নাস্তিক ছিল, এটা মেনে নেয়া যায়। তিনি অনেক পড়ালেখা করেছেন। এবং পড়তে পড়তে মাথায় একধরনের গোলমাল হয়ে যাওয়া খুব একটা অস্বাভাবিক না। আমাদের এলাকার 'ডাক্তার সাহেব' ও তো পড়তে পড়তেই পাগল হয়ে গেল। কিন্তু কথা হচ্ছে, অভিজিৎ নাস্তিক সেটার নাহয় যুক্তিযুক্ত কারণ আছে। সে বেঁচে থাকতে নাস্তিক্যবাদের পক্ষে অনেক যুক্তিও হয়তো দিয়ে গেছেন। কিন্তু আপনি 'ডিজে অরণ্য' যদি নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করেন, সেটা আমি মানবো কিভাবে? আপনি বাপের জন্মেও কখনো গুগোল ঘেঁটে দেখেন নি, সৃস্টি জগতের রহস্য। আপনি ঘেঁটেছেন, কিভাবে মেয়েদের সামনে আপনাকে আরোও সুন্দর দেখা যাবে। অথচ আপনি নিজেকে নাস্তিক বলে পরিচয় দেন। আপনি কেন নাস্তিক, জিজ্ঞাসা করলে আপনার উত্তর হয়, "এই বিজ্ঞানের জুগে আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করি না ডুড!" এই আপনাকেই যদি আমি আবার জিজ্ঞাস করি, কেন বিশ্বাস করেন না ডুড? আপনি তখন চুপসে যান। হয়তো বা কখনো বা বলেন, আমার বস 'গ্যাংনাম আক্কু' বিশ্বাস করে না, তাই আমিও করি না...

এটা হলে ক্যামনে হপে, দুধ? থুক্কু, ডুড?

নাস্তিক মানে কিন্তু ইসলাম বিরোধী না... নাস্তিক মানে গোটা ধর্ম বিরোধী। যে নাস্তিক সে স্রষ্টাকে বিশ্বাস করে না। সো, সে ইসলাম বিশ্বাস করে না। সে হিন্দু বিশ্বাস করে না।(অথচ হলি খেলে) সে বৌদ্ধ বিশ্বাস করে না। তারা স্বসৃষ্ট মানবধর্মে বিশ্বাস করে। আচ্ছা, কেউ একজন আমাকে দেখাতে পারবে, কোরআনে কোথায় লেখা আছে, তুমি মুসলিম, সো তুমি হিন্দুর মন্দির ভেঙ্গে দাও... অথবা, গীতায় কোথায় আছে, তুমি হিন্দু, সো, মুসলিমের আজানের সময় তুমি আশিকি টু মুভির গান বাজাও...

ব্যাপারটা কোথায় জানেন? অধপতন... নাস্তিক আস্তিক কথাটা কিন্তু আজ থেকে ১০ বছর আগেও এতটা 'জনপ্রিয়' ছিল না। এই তো বছর কয়েক হল মার্কেট পেয়েছে। এবং এই বছর কয়েকেই আমাদের উপমহাদেশের মানুষের জীবন যাপন আমূল বদলে গেছে। গুগোল এসছে, যেটায় ঘষা দিলে হলিউডের অ্যাঞ্জেলিনা জোলি পর্যন্ত পৌঁছে যাওয়া যায়। ফেসবুক এসেছে, মেয়ে এসেছে। সামান্য কয়েকটা সুরসুরি কথা বললেই অথবা দুটো সুরসুরি মার্কা ছবি আপলোড করার নাম এখন প্রগতিশীল। তাইলে আমি কেন রে ভাই, সেই প্রগতিশীল হব না? এই সমাজে তো প্রগতিশীলদের ব্যাপক দাম। একজন প্রগতি তার গতির জোরে টিশার্ট পড়া মেয়েটাকে আচ্ছা মত রং মাখাতে পারে। সেই সাথে শরীরের এখানে ওখানে হাতও মাখাতে পারে। একজন প্রগতি তার গতি জোরে মেয়ের পর্দার পক্ষে না। গরমে মেয়ে কষ্ট পায়। আর ভাই, মেয়েটা গরমে যতটা না কষ্ট পায়, সেই প্রগতি তার চেয়ে বেশী কষ্ট পায় মেয়ের ওড়না ছাড়া শরীর না দেখতে পেয়ে।

একটা ঘটনা বলি। একদম সত্যি। আমার এক ফ্রেন্ড আছে। অনেক ক্লোজ ফ্রেন্ডই। এক সাথে আবৃত্তি করি। তো আবৃত্তির এক প্রতিযোগিতায় কয়েকদিন আগে টিএসসি গেছিলাম দুজনই। টানা দুইদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা থাকতে হয়েছিল। আমাদের দুজনেরই সমবয়সী একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়ে গেল। কথায় কথায় প্রথম দিন সেই ফ্রেন্ড জানিয়ে দিল, সে আসলে নাস্তিক। ইশ্বরে বিশ্বাস করে না। কিন্তু মেয়ে আবার ব্যাপক ধার্মিক। সদ্য পরিচিত এত ভাল বন্ধুটা নাস্তিক, এটা সে মানবে কিভাবে? ঘটনা পরের দিন ইউ টার্ন নিল। বিকাল নাগাদ আমার বন্ধুটা জানিয়ে দিল, সেই মেয়ে যদি তাকে ভালবাসে তাহলে সে আল্লাহয় বিশ্বাস করতে রাজি।

তারপর আর কি?
তাহারা সুখে শান্তিতে একই সাথে প্রেম এবং আল্লাহয় বিশ্বাস করিতে লাগিল। তাহারা ভাল আছে।

এই আস্তিক আর নাস্তিক এর বাইরেও কিন্তু একটা শ্রেণি আছে। এরা নামাজ পড়ে না। এরা মন্দিরে যায় না। তবে আল্লাহকে নিয়ে অবমাননাকর কথা শুনলে এঁদের
অন্তর কেঁপে ওঠে। মন্দির ভাঙার খবর তাঁদেরও পিলে চমকে দেয়। এরা নারী সঙ্গে ভীষণ রকম আগ্রহী কিন্তু এই নারীকেই যখন একজন প্রগতি তার গতির ঠ্যালায় উলঙ্গ করতে চায়, তখন তার অপরাধবোধ যাগে।

এই তৃতীয় শ্রেনীতে আমার মত কিছু সাধারণ মানুষ আছে। যারা নামাজ পড়ে না আবার বেনামাজী ব্যাক্তিকে গালাগালি করে। নাস্তিকের আস্তিক সমালোচনা করার অধিকার আছে, আস্তিকের নাস্তিক সমালোচনার অধিকার আছে। কিন্তু আমাদের কোনো সমালোচনা করার অধীকার নেই। তাই কারো এসব পোস্টেই কোনো কমেন্ট করি না। নিজের মনের বিক্ষিপ্ত ভাবনাগুলো নিজের মাঝেই রাখি।

শিরায় শিরায় বসবাস!

সবটা নাহয় মেনে নিলাম।মনের মাঝের সব স্বপ্নগুলো একটার পর একটা ভেঙ্গে যাবে, সেটাও মেনে নেব? সেটাও মেনে নিতে হচ্ছে। কাল অংক পরীক্ষা। ফেইল করে বসতে পারি। খুব সম্ভব। যে আমি অনেক আগে থেকে দোয়া করছিলাম, পরীক্ষার আগে যেন ছুটি থাকে, সেই আমি টানা এক সপ্তাহ ছুটি পেয়েও, একবারো বই টাচ না করে পরীক্ষা দিতে যাব! সত্যি কথা কী, আমি পচে গেছি। আমার সব পচে গেছে। একদম নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিক ততটাই নিচে নেমে গেছি, যতটা নিচে কেউ নামতে পারে না। এঁকে খারাপ বলি, ওকে খারাপ বলি, আসলে খারাপ তো আমি! কেন এমন একজনকে ভালবাসতে গেলাম, যার কাছে আমি-আমার স্বপ্ন গুলোর বিন্দুমাত্র দাম নেই! অনেকের ভালবাসা হয়তো পুর্নতা পায় না। কিন্তু এমন মানুষ পৃথিবীতে ক'জন আছে, যাদের শিরায় শিরায় একটা মানুষ দুটো বছর মিশে থাকার পরেও রক্ত ছোঁয় না?

হাজার বছর ধরে আমি কেঁদে চলেছি পৃথিবীর বুকে

জন্মের সময় আমি খিল খিল করে হাসতে হাসতে বের হলাম। বাবা মা পড়ে গেল মহা টেনশনে। ছেলে না কাঁদলে তো সমস্যা। যেভাবেই হোক, ছেলেকে কাঁদাতেই হবে। নার্স মায়ের পারমিশন পেয়ে শুরু করলো আমাকে মাইর। ছোট্ট একটুখানি শরীর, তার'পরে হাসির সাজা হিসেবে মাইর- সহ্য হল না। কেঁদে দিলাম। আমি কাঁদি আর আর মা হাসে। সেই যে আমার কান্না শুরু হল... থামার নাম নেই। আমি যতটা কাঁদি পৃথিবীর আর কোনো পুরুষ মনে হয় এতোটা কাঁদে না। মাঝে মাঝে রেগেমেগে মাকে বলি, মারে সেইদিন না কাঁদালে কী হত না??

তৃতীয় প্রেম জানিতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না

তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। জীবনের প্রথম প্রেম। মেয়ের চেহারা ছিল ব্যাপক। ছোট মানুষ তো, পুতুল পুতুল দেখতে লাগতো। সেই পুতুলরে আমি একদিন প্রেম পত্র পাঠাইলাম। শালার পিয়ন বান্ধবীরা জায়গামত না পৌঁছে স্যারের কাছে দিয়ে দিল। আমার তো ভয়ে জানের পানি নাই। এমন সময় বড় ভাইয়া এসে মা'কে বললো, মা জানো, ক্লাস ফাইভে পড়া এক মেয়েকে কোন শয়তান যেন প্রেম পত্র দিছে। স্মরণদের সাথে পড়ে...
আমি তখন চুপ!

"উহু, আমি দেখে রাখসিলাম "

প্রাপ্তি আমার চেয়ে ছয় বছরের ছোট। তাই 'পিঠেপিঠি' ভাইবোন যেটাকে বলে, আমরা সেটা না। তারপরেও মারামারি করতাম (এখন করি না :P)। মারামারি করার কোনো কারণ ছিল না। ও হয়তো ছবি এঁকে দেয়ালে টাঙ্গিয়ে রাখতো, আর আমি আর্ট ক্রেডিট ওর নাম কেটে দিয়ে আমার নাম লেখে দিতাম tongue emoticon
আবার যখন গাছে আম বড় হওয়া শুরু করতো, আমি আর বড় ভাইয়া আমের গায়ে নাম লিখে রাখতাম। কিন্তু ও তো আর গাছে উঠতে পারতো না। তাই ওর নামও লেখা হত না। পরে যখন আম পড়তো, যার যার নামের আম সে সে নিয়ে রেখে দিতাম। আর প্রাপ্তি কাঁদত। বলতো এটা আমার আম।
কিরে তুই আমের গায়ে নাম লেখে রাখসিলি?
উহু, আমি দেখে রাখসিলাম